ভদ্রলোক বেশ আমুদে, কথা বলেন প্রাণ খুলে।
এসেছেন পায়ের অপারেশন করতে।
একটু অস্বস্তি প্রকাশ করেন, কোভিড টেস্ট করাতে বললে।
আগে পর পর ৭ বার কোভিড টেস্ট করেছেন। রেজাল্ট নেগেটিভ।
এবারও উপসর্গ নাই, কোভিড টেস্টে বিরক্তি তার।
বিরক্তি আড়ালে রেখে মুখে হাসি টেনে বললেন,
-স্যার, শুধু শুধু টেস্ট করালেন। আগের ৭ বারই নেগেটিভ এসেছে, এবারও আসবে।
আমি মুখে হাসি টেনে বললাম,
কংগ্রাচুলেশনস, ৭ বারের চেষ্টায় আপনি সফল হয়েছেন। ৮ম বারে আপনি পজিটিভ হয়েছেন।
ভদ্রলোক আর কথা বললেন না। চুপসে গেলেন। দমে গেলেন। ইয়োলো জোনে ছিলেন। দ্রুতই তাকে আইসোলেটেড করা হল। শিফটিং এর আগে অত্যন্ত মলিন বদনে শুয়ে আছেন। দেহ স্থির তার।
বেড়ে গেছে শুধু হার্টবিট।
হার্টবিট কমাতে ঔষধ দিব?
না দিলাম না…দিলাম সেলফি থেরাপি!
কাছে গিয়ে বললাম, ৭ বারের চেষ্টায় সফল হলেন, আসেন সেলফি তুলি।
মুহুর্তেই আনন্দের ঝিলিক তাঁর চোখেমুখে!
হার্টবিটও কমে গেছে। কমে গেল আতংকটাও।
পরবর্তীতে হোম আইসোলেশনে থেকেই সুস্থ হন তিনি।তাঁর অনুমতি স্বাপেক্ষেই ছবিটি সামাজিক মাধ্যমে দেয়া হল।না..
তাঁর কাছে যাওয়ায় আমার করোনা হয়নি…মাস্ক সত্যিই প্রটেকশন দেয়।
প্রয়োজনে অবশ্যই মাস্ক পরে থাকুন। আপনজন অসুস্থ হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার সেবায় নিজেকে নিয়োজিত করুন।
ডাঃ সাকলায়েন রাসেলের পেইজ থেকে নেয়া।
নিউজডেস্ক – বাংলাকণ্ঠ২৪.কম