হেফাজত ইসলামের যুগ্ম সেক্রেটারি মামুনুল হকের সমর্থকরা নারায়ণগঞ্জে এ তাণ্ডব চালিয়ে সোনারগাঁয়ের একটি রিসর্টে ভাঙচুর চালিয়েছিলেন, যেখানে তাকে তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী বলে দাবি করা এক মহিলার সাথে তাকে আটক করা হয়েছিল।
মহানগর হেফাজতের সেক্রেটারি ফেরদৌসুর রহমান জানান, শনিবার পুলিশে ফোন করার আগে মামুনুল তার দ্বিতীয় স্ত্রীর সাথে রিসর্টে গিয়েছিলেন যেখানে স্থানীয় ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতারা তাকে বন্দী ও হয়রানি করেছিলেন।
ফেরদৌসুর রহমান জানান, মামুনুল হক দাবি করেছেন যে তাঁর সাথে আটককৃত মহিলা তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী।
তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের হেফাজতের নেতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করার বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন।
পরে সন্ধ্যায় মাদরাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা রিসোর্টের সামনে জড়ো হয়ে মামুনুল হককে মুক্তি দেওয়ার জন্য স্লোগান দিতে থাকেন।
এক পর্যায়ে তারা রিসোর্টের মূল ফটকটি ভেঙে দেয় এবং রিসোর্টে প্রবেশের মাধ্যমে ব্যাপক তাণ্ডব শুরু করে।
পরিস্থিতি হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছিল বলে পুলিশ তখন মামুনুল হককে মুক্তি দিয়েছে।
তবুও তারা রাত ৮ টার দিকে মামুনুল হক এর স্ত্রীকে মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা রিসোর্টে ভাঙচুর চালিয়ে যায়।
রিসর্ট কর্তৃপক্ষ দাবি করেছে যে এ ধ্বংসে তারা এক কোটি টাকার লোকসান করেছে।
মামুনুল হক জড়িত আ.লীগ ও যুবলীগ নেতাদের বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়ে বিক্ষোভকারী বিক্ষোভকারীদের শান্ত করেছিলেন এবং তাঁর স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ধ্বংসাত্মক কাহিনী অব্যাহত থাকার পরেও বিক্ষোভকারীরা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করে স্থানীয় আ’লীগ অফিস এবং যুবলীগ নেতার গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেয়।
নারায়ণগঞ্জের পুলিশ সুপার মো: জায়েদুল হক জানান, স্থানীয়রা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ ওই রিসোর্টের কক্ষে মাওলানা মামুনুল হককে এক মহিলার সাথে কারাবন্দী করেছে।
মামুনুল হক দাবি করেছেন যে ওই মহিলা তাঁর স্ত্রী, পুলিশ তাকে নিরাপদে রিসর্ট থেকে সরিয়ে নিয়ে তাদের হেফাজতে রেখেছে।
সোনারগাঁও থানার পরিদর্শক (তদন্ত) তোবিদুর রহমান সন্ধ্যায় মামুনুল হককে পুলিশ হেফাজতে নিরাপদে থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। ।
এদিকে মাওলানা মামুনুল হক তার ছবি ও ভিডিও ফুটেজ নেওয়ার চেষ্টা করা সাংবাদিকদের বিরুদ্ধে মামলা করার হুমকি দিয়েছেন।
নিউজ ডেস্ক – বাংলাকণ্ঠ২৪.কম