এই বাংলা গল্পে শুরু হচ্ছে না শুধুমাত্র একজন অভিনেতার জীবনকাহিনীর নিয়ে, তবে এই অভিনেতার কাহিনীটি আপনাদের মাঝে পরিচিত হয়ে উঠবেনি কারণ এই অভিনেতার কাহিনী সম্পর্কে জানার জন্য কমপক্ষে সেই মানদণ্ড দরকার যেখানে সেই নামটি নির্দিষ্ট হচ্ছে। এই মানদণ্ড হচ্ছে শাহরুখ খান।
শাহরুখ খান একজন ভারতীয় চলচ্চিত্র অভিনেতা, যিনি স্বয়ংক্রিয় ভাবে একটি চলচ্চিত্র উদ্যোগকে একটি পূর্ণ নির্দেশনালয় পরিচালিত করে নেন। তাঁর ব্যক্তিগত জীবনও তাঁর অনুভূতিগুলি নিয়ে নতুন প্রতিচ্ছবি প্রদর্শন করেছে।
শাহরুখ খান একটি মুখে মুখে শক্তিশালী একটি অভিনেতা হিসাবে জনপ্রিয়তা লাভ করেছেন।
তিনি তাঁর জীবনে প্রায় চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য বিখ্যাত হয়েছেন। শাহরুখ খানের জন্ম ২ নভেম্বর, ১৯৬৫ সালে ভারতের নয়াদিল্লী শহরে হয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে একটি ম্যাসেজ থেরাপিস্ট হিসাবে কাজ
শুরু করেন, তবে তাঁর প্রথম পরিচয় চলচ্চিত্র বিজয় স্থম্ব (Deewana) হওয়ার পর তাঁর পথ চলতে শুরু হয়। এই চলচ্চিত্রটি মাহির খান ও দিব্যা ভারতীর সাথে পরিচালিত হয়েছিল। এই চলচ্চিত্রটি শাহরুখ খানের জীবনের অনেক গুরুত্বপূর্ণ চলচ্চিত্রের মধ্যে একটি। এরপর তিনি পরের বছর আরজুন নামের একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন, যেটি তাঁকে আরও উন্নয়ন দেয়।
শাহরুখ খানের অনেক কলাকৌশল আছে যা চলচ্চিত্র শিল্পে সেই চমৎকার অভিনয়ে পরিবেশন করেছে। তাঁর সঙ্গে কাজ করতে চান একটি অভিনেতা হওয়া অসাধারণ অনুভূতি এবং ব্যাপক জ্ঞান নিয়ে এসেছে। এছাড়াও তিনি একজন বিচারপ্রস্তুত ব্যক্তি এবং সমাজসেবক হিসাবেও পরিচিত।
শাহরুখ খানের জীবনকাহিনী অনেকটা কার্যকর প্রভাবে নিয়মিত সামাজিক সাংবাদিকতা এবং মনোযোগের কেন্দ্রে থাকে। তিনি কখনোই তাঁর শিল্পের কাজের সময় সামাজিক দায়িত্ব এবং একাধিক সামাজিক মুদ্রার প্রচার করেন। তিনি বিবিসি বাংলার জন্য নির্দেশক হিসাবে কাজ করেছেন এবং কাজটি অত্যন্ত উপকারপ্রদ হয়েছে।
শাহরুখ খান একজন অভিনেতা, নির্মাতা এবং নির্দেশক। এরপরও তিনি সবচেয়ে জনপ্রিয় হিস্ট্রিক্যাল বা রোমান্টিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তাঁর কিছু জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হলো দিলওঝালা (Dilwale Dulhania Le Jayenge), কাভি খুশি কাভি গাম (Kuch Kuch Hota Hai), চাক দে ইন্ডিয়া (Chak De! India) এবং মাই নেম ইজ খান (My Name Is Khan)।
শাহরুখ খান একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হিসাবে প্রসিদ্ধ হয়েছেন। তিনি হিসাবে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে বলেন, “সেখানে পড়াশোনা আমার জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিল। তবে বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে গেলে আমি একটি সেলসম্যান হিসাবে কাজ করতে শুরু করেছি। তবে আমি সারাজীবন নিজেকে একজন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র হিসাবে মনে করতে পারি।”
শাহরুখ খান বাংলাদেশের সাথে সম্পর্কে উক্তিতে বলেছেন, “বাংলাদেশ একটি অসাধারণ দেশ। এখানে অনেক সুন্দর জায়গা রয়েছে। মানুষগুলো খুব স্বভাবতই স্নেহপূর্ণ এবং সৌষ্ঠবপূর্ণ। এখানে রয়েছে অনেক বিভিন্ন ভাষার লোক। সেই ভাষাগুলো আমার অনেক আকর্ষণ দেয়।”
শাহরুখ খান সাধারণত তাঁর নেতৃত্বে একটি নিজস্ব প্রতিষ্ঠান গঠিত করেন।
এছাড়াও তিনি অনেক জনপ্রিয় নাটকবিদ এবং চলচ্চিত্র নির্মাতা। তাঁর নির্মিত চলচ্চিত্রের মধ্যে প্রথমে আসা হল দেবান্দী, জেবন জুদ্দো, স্বদেশী এবং চাক দে ইন্ডিয়া। তবে তাঁর প্রথম বিশ্ববিখ্যাত চলচ্চিত্র ছিল দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে জাএংগে। এই চলচ্চিত্র শাহরুখ খানের জীবনে একটি বিপর্যস্ত মোড় নির্দেশ করে। তিনি এই চলচ্চিত্রে রমন্টিক হিরো না হয়ে একটি নাস্তিক যুবক হিসাবে প্রদর্শিত হয়েছেন। এছাড়াও তিনি কিছু আধুনিক চলচ্চিত্র তৈরি করেন, যেমন কই মিল গয়া। এই চলচ্চিত্রে তিনি না কেবল নির্মাতা হিসাবে পরিচিত হয়েছেন বরং এছাড়াও অভিনয় করেন।
শাহরুখ খান ছয় বছর বয়স থেকে একজন অনুষ্ঠান পরিচালক হিসাবে কাজ শুরু করেন। তিনি বিস্তারিত জানতে পারেন যে তাঁর বাবা একটি পাথর খন্ড কাজ করেন এবং তাঁর মা একজন জনপ্রিয় মডেল হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তিনি একটি বৈদ্যুতিন প্রতিষ্ঠানে কাজ করতেন এবং তাঁর পরিবার সদস্যরা বাংলাদেশে থাকতেন। শাহরুখ খান তাঁর প্রাথমিক শিক্ষাগত শিক্ষা কলকাতার একটি বিদ্যালয়ে নেন। তিনি সেখানে অধ্যয়ন করতে পছন্দ করেন না কারণ তাঁর মন চায় বেশ কিছু নতুন করা। তিনি চাইলে সমস্ত বইয়ের পাতা ভাঙ্গিয়ে ফেলতেন।
তাঁর পরবর্তী শিক্ষাগত পথ কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় হলো। শাহরুখ খান মনে করতেন যে তিনি পড়াশোনায় না সংশোধন করতে হবে এবং সে কারণে তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে না যান।
সেখানে তিনি কমিউনিটি থিয়েটারে যোগ দেন এবং একটি নাটকের জন্য একজন আলোচক হিসাবে কাজ করেন। শাহরুখ খান প্রথম সিনেমা দেখেন যখন তিনি পাঁচ বছরের ছিলেন। একজন মিশরিতে থাকা বাংলাদেশী ব্যবসায়ী তাঁকে একটি হিন্দি চলচ্চিত্রে যোগ দেন। শাহরুখ খান তার প্রথম টেলিভিশন শো হল ‘ফৌজি’। এই টেলিসিরিজ কমান্ডোস হিসাবে তিনি ভূমিকা পালন করেন।
শাহরুখ খানের প্রথম সিনেমা ছিল ‘দিল আশিকানা’। এই সিনেমায় তিনি মুখ্য ভূমিকা নিয়ে অভিনয় করেন এবং সেই সাল একটি অন্যতম সফল সিনেমার মাধ্যমে হিট হিট হয়ে উঠেন। তারপর তিনি বিভিন্ন ধরণের চলচ্চিত্র এবং নাটকে অভিনয় করেন।