মরিয়ম খালাকে তো চিনেন? স্বামী সন্তানহীন এই মানুষটিকে খুঁজে পেয়েছিলাম আট মাস আগে।সেই থেকে উনার সাথে সম্পর্ক।
রাস্তায় থাকা মানুষটিকে একে/একে থাকার জায়গা তারপর স্বাচ্ছন্দ জীবনযাপন করার ব্যবস্থা করে দিয়েছি।
আলহামদুলিল্লাহ যেই মানুষটির দুনিয়াতে কেউ-ই নাই। তিনি খুব ভালো থাকবেন অনেকে বিশ্বাস-ই করতে পারেনি, কিন্তু আল্লাহ চাইলে কি-না সম্ভব।
মাঝে/মাঝে দেখতে যেতাম উনাকে।কালকে চিন্তা করলাম রোজার তো শেষ পর্যায়ে যেই বাজার দিয়ে আসছিলাম তা বোধহয় শেষ। খোঁজ নিয়ে দেখে আসি কেমন আছে।
সেইসাথে ইফতারটাও করে আসি। আমাকে দেখেই উনি এতো আবেগী হয়ে যায় বলে বুঝানো যাবেনা।
আফসোস নিয়ে বলে হয়তো তোমারে আমি পেটে ধরিনি তবে সবাইরে জিগাইয়া দেখো তোমার জন্য আমি কত অপেক্ষা করি।
সবাইকে বলি আমার ছেলেটা এলোনা রোজাগুলো চলে যাচ্ছে।একটা দিন ইফতার করতে পারতাম একসাথে।আমার মাওলা মনের আশা পূরণ করেছে।
বাবা জানি অনেক ব্যস্ত থাকো তবে একটু দেখতে আইয়ো তুমি ছাড়া তো এখন আর কেউ নাই আল্লাহ ছাড়া।
ছোট্ট এই জীবনে অনেক না পাওয়ার ভীড়ে এই মানুষগুলোর খাটি ভালবাসাই আমাকে বেঁচে থাকতে সহযোগিতা করে।
মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া উনাকে আজ পুরো একমাসের বাজার করে দিলাম। ফ্যান কিনে দেওয়া হয়েছে আগেই, ধীরে/ধীরে কুল-কিনারাহীণ মানুষটির নিজের একটা পরিপূর্ণ সংসার হয়ে গেলো যার কৃতিত্ব আপনাদের আমি শুধু চেষ্টা করে যাই।
যতদিন বেঁচে আছি সবার প্রিয় মানুষ হয়েই বাঁচতে।আমার জন্য দোয়া করবেন। – পারভেজ হাসান
নিউজ ডেস্ক – বাংলাকণ্ঠ২৪.কম