শিলা আহমেদ- থাকা না থাকার মধ্যিখানে জন্মেছিলেন ১৯৮১ সালের ১৮ জানুয়ারি।
সে হিসেবে মকর রাশির জাতিকা তিনি।বাবা হুমায়ূন আহমেদ এর নাটক “বহুব্রীহি ” তে প্রথম একঝলক দেখা গেলেও অভিনয় করেন “অয়োময় ” নাটকে।
এরপর “প্রিয় পদরেখা” তে শীলার অভিনয় দেখেছে দর্শক।১৯৯৩ সালে “খাদক” নাটক এ অভিনয় করেন শীলা। এই নাটক করতে গিয়েই শাওনের সাথে হয়ে যায় বন্ধুত্ব।
যদিও প্রথম প্রথম শাওন পাত্তা দিতে চাইতেন না। “নক্ষত্রের রাত” নাটকে অভিনয়ের জন্য সময় দিতে গিয়ে বিজ্ঞান বিভাগে পড়া হয়নি শীলার।ভীষণ মন খারাপ হয় শীলার।
সেইসময় সান্ত্বনা দিতে এগিয়ে এসেছিলেন শাওন আর দিহান।দিহান ( অভিনেত্রী) হলেন শীলার ফুফু। তবে শীলা ছবি এঁকে মানুষকে উপহার দিতে পছন্দ করতেন।
১৯৯৭ সালে “আজ রবিবার” এর “কঙ্কা ” চরিত্রটা তাকে দারুন জনপ্রিয়তা এনে দেয়। সবাই ভেবেছিলেন, এবার থেকে হয়তো শীলাকে নাটকে নিয়মিত পাওয়া যাবে।
কিন্তু না, শীলা আহমেদ অনিয়মিতই হয়ে গেলেন। নাটকে দেখা গেলো না তাকে আর।২০০১ সালে আবার তাকে দেখা যায়”খোয়াবনগর ” নাটকে তবে এটাই ছিল তার শেষ নাটক।
আফসানা মিমির কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিলো, তাদের পরবর্তী প্রজন্মের মধ্যে কাকে সম্ভাবনাময়ী মনে হয়। তিনি উত্তরে বলেছিলেন, শীলা আহমেদ।
বিটিভির ঈদ অনুষ্ঠান এ জনপ্রিয় ধারাবাহিক ” কোথাও কেউ নেই” এর অভিনেতাদের গেট টুগেদার করা হলে, সেখানে আফজাল হোসেন, সুবর্ণা মুস্তাফা, বিজরী সবাই বলেন শীলার সাবলীল অভিনয়ের কথা।
অভিনয়প্রতিভার স্বাক্ষর হিসেবেহুমায়ূন আহমেদ পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ” আগুনের পরশমণি ” র জন্য শীলা আহমেদ পেয়েছিলেন শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী র জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।
অভিনয় এ নিয়মিত হলে হয়তো তার কাছ থেকে আরো ভাল কিছু কাজ পাওয়া যেত।কিন্তু অভিনয় থেকে প্রায় দুইদশক ধরে দূরে থাকার পরেও শীলা আহমেদ রয়ে গেছেন দর্শক এর মনের মণিকোঠায়।