জিয়াউর রহমান মেডিকেলের বুদ্ধিমান দালাল হইতে সাবধানতার গল্প !
বগুড়া জিয়াউর রহমান মেডিকেলে দালালরা অভিনব কায়দায় অসহায় রোগীদের বিপদে ফেলছে।
মেডিকেল প্রাঙ্গণে সবসময় তাদের একটি সঙ্গবদ্ধ গ্রুপ কাজ করছে। মেডিকেলে প্রবেশ করে আউটডোরের দিকে যেতেই পথ আটকিয়ে এক দালাল বলছে এখানে করোনার কারণে আর রোগী দেখা হচ্ছে না।
মেডিকেল কলেজের ব্লিডিং দেখিয়ে দিয়ে সেখানে যেতে বলছে ঐ দালাল। দালালের কথামত ঐ ব্লিডিং এর কাছে যেতেই আরেক দালাল বলছে আপনি এত দেড়ি করছেন কেন, একটু আগেই স্যার চলে গেল।
কৌশলে কথা বলার একপ্রান্তে ঐ দালাল পাশের ক্লিনিকগুলো দেখিয়ে বলছে ডাক্তার স্যার ওখানে বসে। এতদূর থেকে যখন এসেছেন তাহলে ডাক্তার দেখিয়েই যান।
আমি বলে দিচ্ছি অর্ধেক টাকা(৩০০) নিবেনি। কথায় যদি অসহায় কোন রোগী ভুলে যায় তাহলেই কেল্লা ফতে। তখন একজন নিয়ে যাবে ঐ ক্লিনিকে।
সেখানে ঢুকলেন তো গলা কাটা । ডাক্তার ফি ৩০০ টাকা নিলেও ওমুক ফি তমুক ফি দিয়ে ৩ থেকে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়ে যাবে।
যেটা থেকে বাঁচতেই গরীব অসহায় রোগীগুলো মেডিকেলে যায়। অথচ এই দালালদের খপ্পরে পড়ে তাদের অধিক টাকা গুনতে হচ্ছে।
জিয়াউর রহমান মেডিকেলের প্রশাসনিক সেক্টর যদি এ বিষয়টা বিবেচনায় না নেয় তবে অনেক অসহায় রোগীর অযথা অর্থ ব্যয় করতে হবে।
(প্রিয় পাঠক, দালালগুলোর ছবি তুলতে চেষ্টা করেছিলাম, কিন্তু তারা আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে সটকে পড়ে। তাই পেছন থেকেই একটা ছবি তুলেছিলাম)।
নিউজ ডেস্ক – বাংলাকণ্ঠ২৪.কম