ফিল্মফেয়ারের কৃষ্ণ রমণী আবারও বাংলাদেশে এল। অতিমারির বিষণ্ন দিনে এই তো আনন্দ। যেকোনো পুরস্কারই এমন একটা মাইলফলক যা শিল্পীকে বলে, ‘তুমি এটা পার হয়ে এগিয়ে যাও।’
ফিল্মফেয়ারের নিয়ম ভেঙে পুরস্কারটা এবার এসেছে দুটো ছবির জন্য। একটা ‘বিজয়া’, আরেকটা ‘রবিবার’। পুরস্কারটা এল, যখন মার্চ মাসে মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছরের উদ্যাপন চলছে। মুক্তিযুদ্ধে রক্তের বন্ধনে বাংলাদেশ–ভারত মৈত্রীর যে সূচনা হয়েছিল, এ বছরটি তারও সুবর্ণজয়ন্তী। আর ‘বিজয়া’ ছবির ভেতরে বয়ে চলেছে বাংলাদেশ আর ভারতের মানুষের ভালোবাসারই ঝরনাধারা। আমার করা এ ছবির পদ্মা চরিত্রটি বাংলাদেশের প্রাণের গভীর থেকে উঠে আসা।
আর ‘রবিবার’ একটি ওপেন–এন্ডেড ছবি। আমার করা সায়নী চরিত্রটি না–আলো না–অন্ধকার। ঘটনা পর্দায় ঘটে না, ঘটে ওর মনে। তাই পুরো অভিনয়টাই ছিল সেরিব্রাল। দারুণ একটা নতুন অভিজ্ঞতা হলো আমার। সায়নী কত কী যে শেখালো।
ভালোবাসা কৌশিকদা আর অতনুদার জন্য। আর আনন্দ তাঁদের জন্য, যাঁরা আমাকে এতদিন ধরে নিঃশর্ত ভালোবাসা আর অকুণ্ঠ সমর্থন দিয়ে এসেছেন।
সবাইকে নিয়ে আমার এই পথ চলাতেই আনন্দ।