প্রিয় বাবা,
তোমার ক্লান্তি ও ভালোবাসা আমাকে ভাবায়। আজ অপলকে নিরবে চেয়েছিলাম তোমার ক্লান্ত জীবনে এবং ভালোবাসা এর জীবনের ভাবনা।
মাঝে মাঝে মনে হয় তোমার হাত ধরে ছোট শিশুদের মতো ঘুরি। তোমার অফিস শেষে ফেরার ঘটনা রহস্য উদঘাটন করে।
আমি অপেক্ষা করছিলাম ঘড়িতে কখন ৯:৩০ বাজে। ৯:৩০ আজকে আমার কাছে অনেক মূল্যবান সময় ছিল। অবশেষে ঠিক সময়ে দেখা।
শত ব্যাস্ততা শেষে তুমি ঠিকি আসলে ৯:৩০ এর আগে।বাবা ভালোবাসি তোমায় খুব,কেন বলতে পারিনা! স্রষ্টা আমাকে শক্তি দিন আরো বেশি বাবাকে বোঝার ও ভালোবাসার।
আমি জানি তুমি অনেক ভালোবাসো আমাদের,তাই এতো সুস্থ আছি আমরা। একটা টম টম যাচ্ছে।আর কি লিখবো।
শরীর হেঁটে চলছে পথ থেকে পথে।উঃ রাস্তায় কে জেন কাঠ ফেলে রেখেছে, হোঁচট খেলাম। একবার ভাবলাম মনুষ নির্দিষ্ট স্থান খুঁজে পাচ্ছেনা কেন!
ব্যাথাটা খারাপ ছিল না। কঠরাকি কথা বলতে পারে।পারে হয়তো, আতে আস্তে কথা বলে।কথা বলতে পারলে আমাকে চা খেতে দিতো,বসে বসে তাদের অভিজাত শান্তি গাছের ফল খাওয়া তো।
একবার sorry বলতে চাইতো, আমি বললাম এটার কোন দরকার নেই। আবার হয়তো দেখা হবে। তবে আমি এখন দেখছি তালুকদার কাকা খাট বানাচ্ছে।
নতুন খাটে ঘুমাবেন কাস্টমার, যদিও নির্ধারিত সময় অর্ডার দেয়নি।তবে ক্রেতার ফুট ফুটে একটা মেয়ে আছে, মেয়েটার সাথে তালুকদার কাকার কথা হয়েছিল এর আগে স্কুলে যাবার পথে।
তালুকদার কাকার একমাত্র কন্যা ৭বছর হলো নেই।৭বছর আগে চিতায় থেকে এখন কোথায় আছে কেউ জানেনা।
মেয়েকে ভালোবেসে তালুকদার মানুষটা রাতভর কাজ করে মেয়ের জন্য বিছানা তৈরি করতেছে। চোখে পানি আসলে আকাশ পানে তাকায়। বুড়ো হাঁটছে আর হাঁটছে।
ইতি,
জয়ন্ত চন্দ্র সোমদ্দার (শুভ্র)
তোমার ছেলে।
হাঁটছি-৮২০০
নিউজ ডেস্ক – বাংলাকণ্ঠ২৪.কম