আমরা চাইলেই যে কারো জীবন অন্ধকারে ডুবিয়ে দিতে পারি। কিন্তু চাইলেই তার জীবনে ভরসার পাত্র হতে পারিনা।কারণ আমরা অন্যকে দায়ী করে অভ্যস্ত জাতি।
দায়িত্ব নেওয়ার মত মনমানসিকতা এখনো গড়ে উঠেনি আমাদের।
দায়সারা মনোভাব আর অন্যকে ছোট করার জন্য যেই পরিমাণ সময় আমরা ব্যয় করি। তার কিঞ্চিৎ সময় যদি অসহায় ভুক্তভোগী মানুষটির জন্য ব্যয় করতাম।
তাহলে যে পরিবর্তন চাই পরিবর্তন চাই বলে গলা ফাটাই সেই পরিবর্তন বেশি দূরে ছিলোনা। আমাকে যারা দীর্ঘদিন/বছর ধরে চেনেন জানেন।
তারা অন্তত এইটুকু জানেন অসহায় মানুষের জন্য আমি কতটা ডেডিকেটেড।
এই পথশিশু এতিম ছেলেটিকে নিয়ে আমার গত কয়েকদিন কি পরিমাণ পরিশ্রম যাচ্ছে তা আপনাদের বলে/বা দেখিয়ে অনুভব করানো সম্ভব না।
একজন মানসিক অসুস্থ ও মাদকাসক্ত ছেলেকে বসে আনা অসম্ভব পরিশ্রমের কাজ। তাকে কাউন্সিলিং করা। তার বন্ধু হয়ে উঠা।
তাকে বিশ্বাস করানো যে আমার ধারায় তার ক্ষতি হবেনা। এবং তার মনের ভেতর জায়গা করে নেওয়া। এইসব যদি ঘরে বসে থেকে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়ার মাধ্যমে হয়ে যেতো।
তাহলে গুটিকয়েক মানুষ আমার সম্পর্কে না জেনেই ছেলেটির কি দায়িত্ব নিলো এই সেই বলে মন্তব্য ছুড়ে দিতেন না।
তারা একজন পারভেজ হাসান হয়ে অসুস্থ শরীর নিয়ে মানবিক কাজগুলো সমান ভাবে চালিয়ে যেতেন।
অসহায় মানুষের জন্য আমাদের অনেকগুলো প্রজেক্ট চলে। সাহরি/ নিম্ন আয়ের মধ্যবিত্ত পরিবারে বাজার পৌঁছে দেওয়া।
স্কুলের বাচ্চাদের আরবি পড়ানো। তারপর অসুস্থ কিছু রোগীদের দায়িত্ব। সেইসাথে আরো নানান কাজ একহাতে সামলাতে হয়। এতো কিছুর পর৷ কি আমার পক্ষে সম্ভব ফেসবুকে সারাদিন পরে থেকে এই ছেলেটির একটু পর পর আপডেট দেওয়া সম্ভব কি?
এই ছেলেটির অনেকেই দায়িত্ব নিয়েছেন/নিতে চাচ্ছেন সেটা ফেসবুকে বসেই। উনিশ থেকে বিশ হলেই। আলোচনা/সমালোচনা করে কি ছেলেটার জীবনে পরিবর্তন আনা সম্ভব?
আমি আগেই বলেছি, বাবা/মা নেই। এতিম ছেলে রাস্তায় থাকে। যার কারণে ভুল পথে চলে গেছে। নেশায় আসক্তি সহ মানসিক ভাবেও সে অসুস্থ। তাকে আমরা কাউন্সিলিং করছি।
তার কাছে বিশ্বাস অর্জন করে তার বন্ধু হয়েছি তার খাবার দাবার থেকে শুরু করে পোশাক সব কিছুরই ব্যবস্থা করেছি। তবে আপনাদের দেখাতে পারিনি।
আর সময় মত দেখাতে না পারাই আমার ব্যর্থতা। কারণ আপনারা দেখে বিশ্বাস করা পাব্লিক। যাই হোক আর বেশি কথা লিখতে ইচ্ছে করছেনা।
ব্যস্ত অনেক, আলহামদুলিল্লাহ ছেলেটি আগের থেকে একটু ভালো আছে।
তার সাথে আমাদের সখ্যতা গড়ে উঠেছে। ইনশাআল্লাহ তাকে আরো কয়েকদিন কাউন্সিলিং করা হবে। এর ভেতর যদি ছেলেটির কোন আত্বীয় স্বজনের খোঁজ পাই।
তাহলে তার অনুমতি নিয়ে, অথবা যদি না পাই। তাহলে নির্দিষ্ট থানা থেকে ছাড়পত্র এবং কাউন্সিলরের অনুমতি নিয়ে তাকে রিহাবে দিবো।
সেক্ষেত্রেও ছেলেটির ইচ্ছে অনিচ্ছা অনেক জরুরি। ইনশাআল্লাহ রিহাবে থাকা অবস্থায় যদি তার উন্নতি দেখি তাহলে তাকে পড়াশুনা সহো যাবতীয় সুযোগ দিয়ে ইনশাআল্লাহ তাকে দেশের সম্পদ বানাতে চেষ্টা করবো। আমার জন্য দোয়া করবেন, দোয়া করবেন ছেলেটির জন্য। – পারভেজ হাসান।
নিউজ ডেস্ক – বাংলাকণ্ঠ২৪.কম