প্রথমেই ডাঃ সাঈদা শওকতকে জানাই স্যালুট তার বলিষ্ঠ প্রতিবাদের জন্য। সারা বিশ্বেই চিকিৎসককে সবচাইতে বেশী সম্মান করা হয়।এখানে ক্ষমতায় কে বড় না কে ছোট সেটা দেখা হয় না।
কিন্তু দুঃখের বিষয় আমাদের দেশে চিকিৎসকদের প্রতিটা ক্ষেত্রে হয়রানি ও হেনস্তার শিকার হতে হয়।ভিডিও দেখার পর সত্যি মনটা খারাপ হয়ে গেছে। যে ভাষা ব্যাবহার হয়েছে সেটা খুবই দুঃখজনক।
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার এত বাড়াবাড়ি কেন?চিকিৎসক পরিচয় দেওয়ার পরই তো সম্মানের সাথে উনাকে ছেড়ে দেওয়ার কথা ছিল।
উনার বিলম্বের কারনে যদি কোন রুগী মারা যেতো তাহলে সেই দায়িত্ব কিন্তু কোন আইন প্রয়োগকারী সংস্থা নিতো না।সব ক্ষোভ কিন্তু চিকিৎসকদের উপর পড়তো।
আর ক্ষমতার কথা যদি বলেন,তাহলে এইমুহুর্তে সবচাইতে শক্তিশালী রাষ্ট্র যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে যদি উনার ব্যাক্তিগত চিকিৎসক লিখে দেন”।
মিঃ প্রেসিডেন্ট ইউ নিড অ্যাবসুলুট বেড রেষ্ট ফর সেভেন ডে”। চিকিৎসকদের ক্ষমতার ব্যাপার নিয়ে কেন প্রশ্ন আসবে?
উনাকে কেন রুগীর কথা চিন্তা না করে ক্ষমতার বড়াই দেখাতে হবে।আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে চিকিৎসকদের সেইভাবেই মূল্যায়ন করতে হবে।
আরে আপনি অথবা আপনার নিজের বাবা মা,সন্তান যদি অসুস্থ হয়ে পড়ে তাহলে তো আপনাকেই আমাদের কাছেই আসতে হবে।তাহলে আপনাদের ব্যাবহার কেন চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে যাবে।
আশা করি আপনাদের শুভবুদ্ধির উদয় হবে। এমনটিই বলেন – কার্যকরী সদস্য, কেন্দ্রীয় বিএমএ, ডাঃ হাসানুর রহমান ।
কী ঘটেছিলো সেদিন?
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক ( সহযোগী অধ্যাপক – গ্রেড ৪ কর্মকর্তা ) এবং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক উনার নিয়মিত ডিউটি পালন করে বাসায় যাচ্ছিলেন।
উনার গায়ে এপ্রোন আছে। উনার গাড়িতে বিএসএমএমইউ এর স্টিকার এবং হাসপাতাল পরিচালক অফিসের সিলমোহর কৃত কাগজপত্র আছে।
উনি পরিচয় দিয়েছেন উনি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহযোগী অধ্যাপক।
তারপরেও পুলিশ উনার গাড়ি আটকে দেয়। উনার সাথে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করে। যা খুবই নিন্দনীয়।
শতাধীক ফেলো কলিকদের লাশ মাথায় নিয়ে আমরা হাসপাতালে যাই নিশ্চিত করোনা আক্রান্ত রোগীদের নিরন্তর চিকিৎসা দিয়ে চল ডিউটি পালন করি।
কেন এতো বার্গেডিং করবে পুলিশের ১২-৮ তম কর্মকর্তা ( যথাসম্ভব)? গাড়ি থামিয়ে কনস্টেবল গুলো কখনোই সালাম দেওয়া বা ভদ্র আচরণ করে না!এভাবে চললে – হাসপাতালও লকডাউন করে দিতে হবে।
ক্লান্ত হয়ে বাসায় ফেরার অধিকার কি তার নেই???
লকডাউন দেওয়া হয়েছে করোনা ভাইরাসের প্রকোপ ঠেকানোর জন্য। যারা করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করছে তাদেরকে ঠেকানোর জন্য নয়।
একজন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকের সাথে একজন পুলিশ কিভাবে খারাপ আচরণ করার সাহস পায়???
দ্রুত এর সমাধান হতে হবে।
চিকিৎসকদের উপর হয়রানি বন্ধ করতে হবে।
তীব্র প্রতিবাদ জানাই। এমনটা মন্তব্য করেন আরকজন চিকিৎসক।
নিউজ ডেস্ক – বাংলাকণ্ঠ২৪.কম