চলছে করোনা সংক্রমনের মৌসুম। প্রতিদিনই আক্রান্ত হচ্ছে হাজার মানুষ। মৃত্যুর সংখ্যাও লাফিয়ে লাফিয়ে বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর সংক্রমন থেকে রক্ষায় আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছে সরকার।
দিচ্ছে একেরপর এক লকডাউন। স্বাস্থ্যবিধি মানাতে মাঠে কাজ করছে প্রশাসন। বন্ধ রেখেছে গণপরিবহন।
তবে যে উদ্দেশ্যে গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে সে লক্ষ্য পুরোদমে সফল হচ্ছে না কারণ গণপরিবহন বন্ধ রাখলেও সড়কে চলছে অবাধে মাইক্রো, হাইচ, সিএনজি অটোরিকশাসহ অনেক যান।
সারাদেশের মত ঠিক একই চিত্র হাটহাজারীতে। লকডাউনে গণপরিবহন বন্ধ থাকলেও অবাধে চলছে সিএনজি অটোরিকশা, মাইক্রো, হাইচ, ব্যাটারী চালিত রিকশা।
যাত্রীদের কাছ থেকে যেমন হাতিয়ে নিচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া তেমনি স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা না করে যাত্রীও নিচ্ছে গাদাগাদি করে। গণপরিবহন না থাকায় যাত্রীরাও যেন তাদের কাছে জিম্মি।
আজ শনিবার হাটহাজারীর বাসস্ট্যন্ড, কলেজ গেইট, হাটহাজারী বাজার ঘুরে এসব চিত্র দেখা গেছে। তবে উত্তর চট্টলার মধ্যে হাটহাজারীতে শহর কিংবা পার্শ্ববর্তী উপজেলা রাউজান ও ফটিকছড়ি থেকে চিত্র আলাদা।
এভাবে অবাধে চলাফেরা, অতিরিক্ত যান কোথাও নেই। এর জন্য সচেতনমহল দায়ী করছেন পুলিশের টহল কিংবা চেক না থাকাকে।
লকডাউনের শুরুতে হাটহাজারী বাসস্ট্যন্ড এলাকায় পুলিশি চেকপোস্ট একইসাথে ট্রাফিক ইন্সপেক্টর অ্যাকশনে থাকলেও এখন নেই বললেই চলে।
এ ব্যাপারে জানতে থানার অফিসার ইনচার্জকে ফোন দিলেও রিসিভ না করায় জানা সম্ভব হয়নি।
এদিকে গণপরিবহন বন্ধ থাকায় চট্টগ্রাম নাজিরহাট খাগড়াছড়ি বাস মিনিবাস মালিক সমিতির প্রায় দেড় হাজার শ্রমিক অর্ধাহারে অনাহারে মানবেতর দিন কাটাচ্ছে।
যে শ্রমিকরা দিনের কামাই দিয়ে সংসার চালায় তারা আজ প্রায় মাসখানিক ধরে ঘরে বসে। মাঝে মাঝে বাসস্ট্যন্ড এসে জড়ো হয় যদি পরিবহন চলে কিন্তু হতাশ হয়েই ঘরে ফিরতে হয়।
সপ্তাহ সপ্তাহ লকডাউন বাড়ার সাথে সাথে বন্ধ থাকে গণপরিহন।
মোঃ বোরহান উদ্দিন
নিউজ ডেস্ক – বাংলাকণ্ঠ২৪.কম