খুব হতাশ হয়ে গেছো তুমি?
তাহলে আমার সফলতার গল্পটা তোমার জন্যই!
আমাদের চিরাচয়িত অভ্যাস কি জানো? আমরা শুধু সফলতা দেখি, কিন্তু সফলতার পেছনের ইতিহাস কখনো তালাশই করি না।
ক্লাস ফাইভ এর ইতিহাস শুনো!
আমার তেমন ভালো কোনো রেজাল্টই ছিলো না, টেনেশুনে পাশ যাকে বলে সেটাই করেছিলাম ৷ আব্বুকে জিজ্ঞেস করেছিলাম “আমার রেজাল্ট কি?” আব্বু বললো “মাশাআল্লাহ পাশ করেছো এটাই অনেক”।
ফ্যামিলির সাপোর্ট আমার পাশেই ছিলো!
ক্লাস এইট এ আমার রেজাল্ট কি এসেছিলো শুনবা? মাত্র 3.89 পেয়েছিলাম ৷ অবাক হচ্ছো হয়তো! আমার পড়াশোনার মান কোন পর্যায়ের ছিলো ভাবো তো একটু!
এরপর আমি যখন সাইন্স নিতে গেলাম , স্কুলের স্যার ম্যাডাম কেউই দিতে চাচ্ছিলো না ৷ কারণ আমি তো ভালো স্টুডেন্ট না ৷ সেদিন সবার বিপরীতে গিয়ে আমি শুধু ম্যাডামকে বলেছিলাম “ম্যাম ! আমি পারিনি মানলাম ,তাই বলে কি আর পারবো না? আমি ইনশাআল্লাহ পারবো ৷শুধু আপনাদের একটু সাপোর্ট প্রয়োজন আমার”
তারপর কি হলো?
এরপর আলহামদুলিল্লাহ SSC রেজাল্ট আসলো জিপিএ-৫ ৷ তাও গোল্ডেন মিস ৷
এরপর আসলো HSC…
এটাতেও জিপিএ ৫ ৷ এবারও গোল্ডেন আসলো না ৷ তাও হতাশ হইনি ৷ বিশ্বাস ছিলো আরো ভালো হবে একদিন ৷
এবার আমার মেডিকেলে স্বপ্ন পূরণের জন্য যুদ্ধ!
কোচিংয়ে এডমিট হলাম, ক্লাস করলাম ৷
তুমি বিশ্বাস করবে কিনা জানি না, আমি কখনোই কোচিংয়ে 45+ নাম্বার উঠাতে পারতাম না ৷ তবুও হাল ছাড়িনি ৷ কারণ আমি এটা বিশ্বাস করতাম যে , পারিনি কিন্তু পারবো!
তুমি জাস্ট একবার ভাবো যে,
যে ছেলেটা কখনো 45+ নাম্বার উঠাতে পারতো না সে ছেলেটা ডিএমসিতে চান্স পেয়ে গেছে!
এতোটা সহজ না কিন্তু! মনের জোর না থাকলে সফলতা পাওয়া এতো সহজ না ৷
মেডিকেলের রেজাল্ট যেদিন বের হলো সেদিন আমার পেছনের সব ব্যর্থতাকে আমার জন্য সৌভাগ্যের কারণ মনে হলো ৷
আর তুমি? নিজেকে নিয়ে ভেবেছো একবারও?
সামান্য একটাতে ব্যর্থ হয়েই অনায়াসে বলে দিচ্ছো “আমাকে দিয়ে আর কিছু হবে না”
এতো অল্পতেই হাল ছেড়ে দিচ্ছো?
তুমি নিজের উপর কনফিডেন্ট ক্রিয়েট করতে পেরেছো? পারোনি ৷ তাহলে কেন তুমি অন্যদের সাপোর্ট আশা করো? তুমি আগে নিজে আত্নবিশ্বাসী হও ৷ দেখিয়ে দাও তোমার শক্তিটুকু!হতাশ না হয়ে বলে দাও সবাইকে যে তুমি পারবে একদিন ইনশাআল্লাহ ৷
আমার সফলতার গল্প তো তুমি জানলেই, এবার তোমার হতাশ হয়ে যাওয়া ফ্রেন্ডসদেরকে আমার সফলতার গল্প জানিয়ে দেয়ার দায়িত্বটা তোমাকেই দিলাম!
নিউজ ডেস্ক – বাংলাকণ্ঠ২৪.কম